জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
সরকার | 1 month ago | CapitalNews
জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট টোকিওর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জাপানের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে জাপান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরকালীন আবাসস্থলে যাবেন তিনি।
এবারের জাপান সফর দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে বাংলাদেশের সামগ্রিক স্বার্থ বিশেষভাবে রক্ষা করবেন সরকারপ্রধান। নির্বাচনের বছরে এ সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মোড়লদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রতি জাপানের হৃদয় উজাড় করা বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল সেই ৭৭ বছর আগে। বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া শিক্ষক ও আইনজ্ঞ রাধা বিনোদ পালের এক রায়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রাধা বিনোদ জাপানের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। মূলত সে ঘটনার পর থেকেই এই অঞ্চলকে বন্ধুত্বের অকৃত্রিম বন্ধনে আবদ্ধ করে নেয়।
এদিকে জাপান সফরের আগের দিন গতকাল সোমবার ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা করে ঢাকা। ১৫টি লক্ষ্য ধরে ঘোষিত এ রূপরেখায় এই অঞ্চলের সমৃদ্ধির লক্ষে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারনা বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে কূটনৈতিকপাড়ায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কূটনৈতিক সূত্রগুলো এখন বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি আগের চেয়ে বড় বিনিয়োগের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের বিনিয়োগ কমানো বা ভারসাম্য আনা হবে। পাশাপাশি জাপানের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দূরত্ব থাকলে তা দূর হবে। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো অবস্থাতেই দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে—এমন কোনো চুক্তি বা সমঝোতা করবেন না। তার আমলেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে করা চুক্তি দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই করা হয়েছে। সামনেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।